✍️ সবথেকে পুরানো নাম - সিন্ধু সভ্যতা
✍️ প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতানুসারে প্রকৃত নাম হরপ্পা সভ্যতা
✍️ ভৌগলিক দিক থেকে দেখতে গেলে সব থেকে উপযুক্ত নাম - সিন্ধু-সরস্বতী সভ্যতা
✍️ কার্বন 14 ডেটিং অনুযায়ী সময়কাল - 2500 BC - 1750 BC
✍️ জন মার্শাল হলেন প্রথম পন্ডিত যিনি "সিন্ধু সভ্যতা" কথাটি ব্যবহার করেছিলেন।
✍️ সিন্ধু সভ্যতা প্রাগৈতিহাসিক যুগের(Proto- historic) সভ্যতা (ক্যাথলিক যুগ / ব্রোঞ্জ যুগ)
✍️ সিন্ধু সভ্যতার বিস্তৃতি - সিন্ধ, বেলুচিস্তান, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, গুজরাট, পশ্চিম উত্তর প্রদেশ, উত্তর মহারাষ্ট্র।
✍️ পণ্ডিতেরা সাধারণত মনে করেন যে হরপ্পা-ঘঘ্ঘর-মহেঞ্জোদারো ছিল সিন্ধু সভ্যতার প্রধান কেন্দ্রস্থল।
✍️ মহেঞ্জোদারো - সিন্ধু সভ্যতা সবথেকে বড় অঞ্চল।
✍️ রাখিগারহি (Rakhigarhi) - সিন্ধু সভ্যতার বৃহত্তম অঞ্চল যা ভারতে অবস্থিত।
✍️ বৃহৎ শহরগুলির সাধারণ বৈশিষ্ট্য
• গ্রিড সিস্টেমের সুন্দর পদ্ধতি যুক্ত নগর পরিকল্পনা
• অট্টালিকা গুলিতে বা রাস্তায় পোড়া ইটের ব্যবহার
• মাটির তলায় জল নিকাশি ব্যবস্থা
• সুরক্ষিত সিটাডেল(দুর্গ)[ব্যতিক্রম-চানহুদারো]
✍️ সুরকাটোডা(কচ্ছ জেলা, গুজরাট):সিন্ধু সভ্যতার একমাত্র স্থান যেখানে প্রকৃতই একটি ঘোড়ার অবশেষ পাওয়া গেছে।
✍️ প্রধান শস্য:- গম ও বার্লি, লতালে ধান চাষের অস্তিত্বের প্রমাণ (গুজরাটের রংপুরেও এই অস্তিত্বের প্রমাণ মিলেছে - শুধুমাত্র এই দুটি জায়গাতেই)
✍️ অন্যান্য শস্য: খেজুর, সরষে, তিল, তুলো ইত্যাদি। সিন্ধু সভ্যতার মানুষেরা প্রথম তুলো আবিষ্কার করেছিল(পৃথিবীর মধ্যে)
✍️ পশু: ভেড়া, ছাগল, কুঁজ যুক্ত ও কুঁজ বিহীন ষাঁড়, মহিষ, শূকর, কুকুর, বিড়াল, বন্য শুকর, বিশেষ ধরনের মুরগি যা মাংস খাওয়ার জন্য ব্যবহৃত হতো, হরিণ, কচ্ছপ, হাতি, উট, গন্ডার, বাঘ ইত্যাদি
✍️ সিন্ধু সভ্যতার মানুষেরা সিংহ কি জিনিস জানতো না
✍️ মেসোপটেমিয়া অথবা সুমেরীয় (আধুনিক ইরাক) বাহারিন ইত্যাদি সভ্যতার সাথে ব্যবসা বাণিজ্য চলত।
✍️ কিছু আমদানিকৃত জিনিসপত্র:
• সোনা: কোলার(কর্ণাটক), আফগানিস্তান, পার্সিয়া (ইরান)
• রুপো: আফগানিস্তান,পার্সিয়া (ইরান), দক্ষিণ ভারত
• তামা: ক্ষেত্রী (রাজস্থান), বেলুচিস্তান, আরব, আফগানিস্তান, বিহার.
• টিন - আফগানিস্থান, বিহার
• ল্যাপিস লাজুলি ও সাফারি: বারাক-সান (আফগানিস্থান)
• Jade: মধ্য এশিয়া
• Steatite: সাহের-ই-সোখতা (ইরান), কিরহার পাহাড় (পাকিস্তান)
•Amethyst: মহারাষ্ট্র
✍️ কিছু রপ্তানিকৃত জিনিস:
কৃষিজ ফসল, সুতির জিনিস, টেরাকোটার গহনা, মাটির জিনিস, বিশেষ কিছু দানাশস্য, আইভরি বা হাতির দাঁত, তামা ইত্যাদি
✍️ এখানকার মানুষরা লোহা সম্পর্কে কিছু জানতো না
✍️ হরপ্পা অধিবাসীরাই সবথেকে পুরনো মানুষ যারা পশম চাষ করতো। গ্রীকরা বলতো 'Sindon'
✍️ যেহেতু কয়েনের কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি তাই বলা যায় বিনিময়ের মাধ্যম ছিল অন্যান্য ব্যবহার্য জিনিসপত্র
✍️ সিন্ধু সভ্যতার সবচেয়ে প্রাচীন বন্দরের নাম লোথাল
✍️ সিন্ধু সভ্যতা প্রাথমিকভাবে শহুরে ছিল
✍️ বিশেষভাবে যেহেতু কোন শাসকের কথা জানা যায়নি তাই বলা যায় সিন্ধু সভ্যতার প্রধান শাসক ছিলেন বড় বড় বণিকরা
✍️ সিন্ধু সভ্যতা বাসীরা তাদের ভগবান কে মন্দিরের পূজা করতেন না। কেননা কোন মন্দিরের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তাদের ধর্মানুরাগ সম্পর্কে অনুমান করা যায় তাদের ব্যবহার্য মূর্তি থেকে।
✍️ সবথেকে বেশি পাওয়া গেছে দেবী মা বা মাতৃদেবী বা শক্তির মূর্তি। যোনি পূজা করার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
✍️ প্রধান পুরুষ দেবতা ছিলেন পশুপতি শিব। এনাকে সমস্ত প্রাণীদের দেবতা মানা হতো। শিবের যোগী মূর্তি ও তার চারধারে হাতি, বাঘ গন্ডার ও ষাঁড়ের এবং দুটি হরিণ এর অস্তিত্ব ছিল। লিঙ্গ পূজার রীতি ছিল।
✍️ সুতরাং ভারতের সবথেকে প্রাচীন মূর্তি শিব শক্তি মূর্তির অস্তিত্ব তখনও হরপ্পা যুগে ছিল
✍️ সেই সময়ে পশুও গাছ পূজা করা হতো। Peepal গাছের পূজা উল্লেখযোগ্য।
✍️ স্বস্তিক চিহ্ন এর উৎস হরপ্পা সভ্যতা
✍️ ইন্দ্রকে হরপ্পা সভ্যতার ধ্বংসের জন্য দায়ী করা হয়।
✍️ ঋক্ বেদ অনুযায়ী হরপ্পা সভ্যতায় 'Hariyumpia' নামক এক যুদ্ধের অস্তিত্ব ছিল।
✍️ বেশিরভাগ পণ্ডিতগণ মনে করেন যে সিন্ধু সভ্যতা নির্মাণকারী বেশিরভাগ দ্রাবিড় জাতির মানুষ ছিলেন।
✍️ হরপ্পা সভ্যতার সমসাময়িক কিছু সভ্যতা:
মেসোপটেমিয়া, ইজিপ্ট এবং চীন
হরপ্পা/সিন্ধু সভ্যতা (2500 BC - 1750 BC)
Reviewed by study school
on
April 10, 2020
Rating: